মাস দুয়েক আগে ঢাকার এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের চেয়ারম্যান ফোন করলেন। ২০০৪ সালে আমাদের বনানী সেন্টারে উনি কমিউনিকেশনের একটি কোর্স করেছিলেন। তখন উনি সম্ভবত পি এইচ ডি করছিলেন। পরবর্তীতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। একজন আলোকিত মানুষ। উনাকে কতটা শিখতে সাহায্য করেছিলাম জানিনা কিন্তু আমি নিজে উনার কাছ
গতবছর ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে একদিন আড়ং–এ গিয়েছিলাম কুশন কাভার কিনতে। বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে আড়ং–এর একটি নতুন শোরুম খোলা হয়েছে, সেটিতে। এর আগে এই আউটলেটে যাইনি। বেশ কয়েকটি দেখার পর একটি পছন্দ করলাম। এক একটি কুশন কাভারের দাম ৭০০ টাকা, প্লাস ভ্যাট! যে কয়টা ডিজাইন ওখানে রাখা ছিল মোটামুটি একই দামের। পরের সপ্তাহে যখন নিউ মার্কেটে
ছোটবেলায় দুষ্ট বালকদের বিলের পানিতে ব্যাঙ-এর দিকে ঢিল ছুঁড়ে মারার গল্প পড়েছিলাম। এখন তো আর তেমন খাল-বিল নেই। আরও দুষ্ট কিছু মানুষ সরকারী খাল-বিল দখল করে নিয়েছে। এই সময়কার দুষ্ট বালকরা মানুষের দিকেই ঢিল ছুঁড়ে মারে। ট্রেনে ভ্রমণরত চলন্ত মানুষের দিকে। ভয়ংকর, পৈশাচিক এই খেলায় অসহায় মানুষ মারাও যায়। ২০১৭ সালে (খুব সম্ভবত) একজন
সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলোতে ইদানিং প্রচুর মোটিভেশনাল স্পিকার দেখতে পাই। ভাল লাগে। আমাদের দেশে প্রফেশনাল ট্যাগ লাইনে এটি একটি নতুন টার্ম। আশি কিংবা নব্বই-এর দশকে এটা পরিচিত শব্দ ছিল না। বলা হয়, আপনি নিজে অনুপ্রাণিত না হলে অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা নিজেকে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে দাবী করছেন তারা নিজেরা
রমজানের অন্যতম শিক্ষা হল মাটিতে পা রাখা, বিনয়ী হওয়া, নিজেকে সুপিরিয়র ক্লাস না ভাবা, মানুষকে মানুষ ভাবা, গরীব মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করা সেই মানুষটি যে ধর্মেরই হোক না কেন, প্রতিদিনকার কাজে, আচরণে সততার, সংযমের চর্চা করা। দুনিয়ার বুকে কিছুদিন হাঁটাহাঁটি করে একটুকরা সাদা কাপড় নিয়ে মাটির নীচে শুয়ে পড়াই জীবন। চারদিকে তাকালে
এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে আমরা আমাদের স্কুল (জিয়া হাসান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল) থেকে আবেদন করেছিলাম ২০১৬ সালে। মৌলি, আমার স্ত্রী এই স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল এবং সিনিয়ার টিচার হিসেবে আবেদন করেছিল মূল আবেদনকারী হিসেবে। সাড়ে সাত মাসে আমাদের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কোন ইন্টারভিউ লাগে নি, এমনকি স্কুলে কোন খোঁজখবরও করা হয়নি
কুয়ো ব্যাঙের একটি দল দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো। একটু অন্যরকম আয়োজন। তারা ঠিক করলো অনেক উঁচু এক পাহাড়ের চূড়ায় দৌড়ে উঠবে। অদ্ভুত এই প্রতিযোগিতা দেখতে প্রচুর দর্শক হাজির হল। প্রতিযোগিতা শুরু হল। প্রচুর দর্শক এলো ঠিকই, কিন্তু কেউই বিশ্বাস করলো না, এই ছোট ছোট ব্যাঙগুলো এতো উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে পারবে। চারদিক থেকে মন্তব্য
নিচের অনুবাদটি আমি করেছি চিকেন স্যুপ ফর দ্যা সোল সিরিজের একটি বই থেকে। বলে রাখা ভাল, চিকেন স্যুপ ফর দ্যা সোলের প্রতিটি সিরিজে ১০১টি গল্প থাকে যার সবগুলোই মানুষের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা, মানে এগুলো কোন কাল্পনিক গল্প নয়। আপনিও চাইলে স্যুপ ফর দ্যা সোল কর্তৃপক্ষকে আপনার আপনার জীবনের কোন গল্প লিখে জানাতে পারেন। সেটি […]
আমার ৪৯ বছরের জীবনে, পরিচিত মানুষের মধ্যে আমি মাত্র দু’জন মানুষের কথা শুনেছি যারা দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ঘোষণা দিয়ে, আয়োজন করে বিদায় নিয়েছেন। আমার মেজ চাচা তাদের একজন। ১৯৯৮ সালে এই দিনে উনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। কয়েক মাস ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ফুসফুসের ক্যান্সার, টার্মিনাল স্টেজ চলছিলো। শেষ পর্যায়ে এসে উনার ভোকাল কর্ড
একটি গ্রামের তিন মাথার মোড়ের চায়ের দোকানে বিকেলের আড্ডা চলছে। গ্রামের মুরুব্বিরা বসে চা খাচ্ছে, গল্প করছে। এক অপিরিচত লোক এসে সালাম দিয়ে জানতে চাইল, ‘আমি এই গ্রামে বসত গড়তে চাই। এই গ্রামের লোকজন কেমন?’ এক মুরুব্বি জানতে চাইলেন, ‘আপনি যে গ্রাম থেকে আসছেন সেই গ্রামের লোকজন কেমন?’ লোকটি উত্তর দিল, ‘সেই গ্রামের মানুষ ভাল […]