আপনি এবং আপনার ভাবনা

যে সবসময় অসুস্থতার কথা বলতে থাকে সে অসুস্থই থাকে। যে সবসময় তার অভাবের কথা বলতে থাকে অভাব কৃতজ্ঞতাবশত তার সাথেই থেকে যায়। এটা কোন অতিপ্রাকৃতিক ব্যাপার না। একশত ভাগ বৈজ্ঞানিক ব্যাপার। চেতন মন সবসময় অবচেতন মনকে যা বলে ভেতরে বাইরে সেটাই ঘটে। এ কারনেই সব ধর্মে পজিটিভ চিন্তা এবং পজিটিভ কথা বলতে বলা হয়েছে। শব্দের ক্ষমতা ভয়ঙ্কর।
আপনি যখন সৃষ্টিকর্তার, অন্য মানুষের প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, আপনি আসলে তখন নিজের উপকার করেন। অবচেতন মনে পজিটিভ সিগন্যাল যায়। সেটি আপনার ভেতরে একটি আনন্দের ভাব তৈরি করে, ফলে সেরাটোনিন এবং ডোপামিন নামক দুটি হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন দুটো খুশি হতে, মনে সুখী ভাব তৈরিতে সহায়তা করে। আর আপনি যখন খুশি থাকেন তখন আপনার যে কোন কাজে পারফর্মেন্স লেভেল থাকে সব থেকে সেরা। দেখেছেন একটির সাথে আর একটি কিভাবে জড়িয়ে আছে? আর এ সবকিছুরই শুরু হয়েছিল চিন্তা থেকে, আর সেই চিন্তা শব্দের আকারে প্রকাশ করা থেকে। চিন্তার উপর নজর রাখুন, নেগেটিভ চিন্তাকে জোড় করে বিদেয় করুন। আর জোড় করে হলেও পজিটিভ শব্দ বলার অভ্যাস করুন। ৪০ দিন জোড় করে অভ্যাসটি ধরে রাখুন। তারপর এটা অটোম্যাটিক অভ্যাসে পরিণত হবে। ৪০ দিন কেন? সেটা জানিনা। কিন্তু এটা জানি অবচেতন মন আপনি যা চিন্তা করেন, ভাবেন সেটাকেই আপনার ইন্সট্রাকশন কিংবা সাজেশান হিসেবে ধরে নেয় এবং সেই পথে এগোয়। কেন তাহলে নেগেটিভ চিন্তা করে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন?
ভাল থাকুন, ভাল রাখুন সবাইকে!

Leave a Reply