অন্যকে অনুপ্রাণিত করা

সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলোতে ইদানিং প্রচুর মোটিভেশনাল স্পিকার দেখতে পাই। ভাল লাগে। আমাদের দেশে প্রফেশনাল ট্যাগ লাইনে এটি একটি নতুন টার্ম। আশি কিংবা নব্বই-এর দশকে এটা পরিচিত শব্দ ছিল না। বলা হয়, আপনি নিজে অনুপ্রাণিত না হলে অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা নিজেকে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে দাবী করছেন তারা নিজেরা একশতভাগ মোটিভেটেড কিনা।
প্রশ্নটি করার কারণ হল, মোটিভেশনাল স্পিকার হওয়া কোন প্রথাগত পেশা নয়। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেকেই জীবনের একটি পর্যায়ে পৌঁছে এটাকে পেশা হিসেবেই নিয়েছেন। পৃথিবী বিখ্যাত টনি রবিন্স তাদের একজন, যিনি এই পেশা দিয়েই কোটিপতি হবার পর এখন অকাতরে মানব কল্যাণে খরচ করে যাচ্ছেন। মোটিভেশনাল কথা বলার মানে হল জীবনবোধ, উপলদ্ধি, অন্তরে গ্রথিত বিশ্বাস নিয়ে কথা বলা এবং সেই কথাটি শুধু আপনার মুখ বলবে না, চোখও বলবে এবং শ্রোতাকে চোখের সেই ভাষাটি বুঝতে এবং পড়তে পারতে হবে। আপনি যা বলছেন তা আপনি অন্তরে বিশ্বাস না করলে সেটা চোখের ভাষায় প্রকাশ পাবে না।
একজন মানুষের জীবনের সেরা কাজ হচ্ছে আর একজন মানুষকে মানুষ হতে সাহায্য করা, তার জীবনের পথটা চিনতে সাহায্য করা। মোটিভেশনাল স্পিকারের কাজটাও ঠিক তাই। দেশে, বিদেশে যারা এই কাজটি দরদ দিয়ে করছেন তাদের সবার জন্য ‘হ্যাটস্ অফ’।

Leave a Reply