ব্যাঙ-এর দিকে ঢিল ছোড়ার সেকাল-একাল

ছোটবেলায় দুষ্ট বালকদের বিলের পানিতে ব্যাঙ-এর দিকে ঢিল ছুঁড়ে মারার গল্প পড়েছিলাম। এখন তো আর তেমন খাল-বিল নেই। আরও দুষ্ট কিছু মানুষ সরকারী খাল-বিল দখল করে নিয়েছে। এই সময়কার দুষ্ট বালকরা মানুষের দিকেই ঢিল ছুঁড়ে মারে। ট্রেনে ভ্রমণরত চলন্ত মানুষের দিকে। ভয়ংকর, পৈশাচিক এই খেলায় অসহায় মানুষ মারাও যায়। ২০১৭ সালে (খুব সম্ভবত) একজন নববধূ প্রাণ হারায় এই ঢিলের আঘাতে। সর্বশেষ এই ঈদে বাড়ি যাবার সময় এই ঢিলের আঘাতে প্রায় চোখ হারাতে বসেছিলেন ৬৫ বছর বয়সী আনোয়ারা বেগম।
শুধুমাত্র আনন্দের জন্য একদল বালক/তরুন সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষদের ঢিল ছুঁড়ে মেরে ফেলছে, পঙ্গু করছে, জখম করছে, ভাবা যায়? কিন্তু সেটাই হচ্ছে! কারা এই অসুস্থ, পৈশাচিক মানসিকতার বালক/তরুন দল? কারা তাদের পারিবারিক অভিভাবক? কারা তাদের এলাকার অভিভাবক? কি তাদের ভূমিকা?
এই প্রাণঘাতী খেলার শেষ হবে না? অবশ্যই হবে, ইনশাল্লাহ্! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই কাজ করছেন এ বিষয়ে। ঢিল ছোড়া প্রবণ এলাকায় কিছুদিন ওত পেতে থাকলে এদের কেউ না কেউ ধরা পড়বে। তারপর সিঙ্গাপুরের শাস্তি ব্যবস্থার মত বেত্রাঘাত করে মিডিয়ায় প্রচার করলে ভাল একটা মেসেজ সবার কাছে পৌঁছে যাবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। চরম সভ্য দেশগুলোর মানুষগুলোও একসময় অসভ্য ছিল। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিতকরণ অসভ্যদের সভ্য করেছে, সমাজকে নিশ্চিন্ত করেছে। খাবারে বিষ মিশিয়ে যে খাদ্য বাব্যসায়িরা একটি জাতিকে স্লো পয়জনিং করে হত্যা করছে তাদেরকেও জেল, জরিমানার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের মত বেত্রাঘাতের ব্যবস্থা করার অনুরোধ রইলো। আল্লাহ্‌ মানুষকে মানুষ হতে সাহায্য করুন।

Leave a Reply