পরের জায়গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই, আমি তো এই ঘরের মালিক নই।

গতকাল সকালে আমার এক চাচা (বাবার কাজিন) মারা গেলেন (ইন্না……রাজিউন)। বয়স  ৮৫। বার্ধক্যজনিত মৃত্যু। বাংলাদেশের শিক্ষিত গুরুজনদের এই অংশটি প্রায় শেষের পথে। এরা একেকজন বিংশ এবং একাবিংশ শতকের ইতিহাসের সাক্ষী। আসলে এরা নিজেরাই ইতিহাস। এই চাচার কথাই ধরুন। ১৯৩২ সালে তাঁর  জন্ম হলে শিশু হিসেবে প্রথম সাত/আট বছর তাঁর তেমন কিছু মনে থাকবার কথা নয়। কিন্তু ১৯৪০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তাঁর চারপাশের দুনিয়ার দর্শক  তিনি। তিনি ব্রিটিশ কাল দেখেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন, পূর্ব পাকিস্তানের জন্ম দেখেছেন, ভাষা আন্দোলন দেখেছেন, বাংলাদেশের জন্ম দেখেছেন। নিজের দেশের জন্ম এবং বেড়ে উঠার ওপর ৪৬ বছরের নিবিড় একটি পর্যবেক্ষণ নিশ্চয়ই ছিল তাঁর। ভাল একজন গল্পকারের সামনে তিনি যদি ৭৫ বছরের স্মৃতিচারণ করে যেতেন আমরা হয়ত চমৎকার কিছু অন্যরকম গল্প পেতাম যার ভেতর ইতিহাস এবং জীবন দুটোরই স্বাদ থাকতো। যাদের পরিবারে এখনও এই বয়সী গুরুজন বেঁচে আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ, উনাদের গল্প শুনুন এবং সম্ভব হলে রেকর্ড করে রাখুন।

Leave a Reply