আত্মঘাতী অস্ত্রতুল্য!

আপনার বাচ্চাটা হয়তো এখনো কথা বলতে শেখেনি, অথচ এন্ড্রয়েড ফোনের গ্যালারিতে ঢুকে তার আব্বুর ছবি আনতে পারে আর সেটা দেখে আপনি ভাবছেন, এতটুকুন বাচ্চার কী বুদ্ধি! বড় হয়ে অনেক মেধাবী হবে!
কিন্তু সেই সময় আপনার ফোন থেকে বাচ্চার চোখে কী পরিমাণে রেডিয়েশনের প্রকোপ পড়ে, ভেবে দেখেছেন কখনো?

আমার কথা না, চিকিৎসকদের দেয়া তথ্যমতে, যেই বয়সে বাচ্চাদের চোখের পাওয়ার বাড়ার কথা, কিন্তু ফোন থেকে আসা রেডিয়েশনের জন্য, ছবি তোলার সময় মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটের আলো, ল্যাপটপ বা ফোনের ডিসপ্লে থেকে বিচ্ছুরিত হওয়া আলোর কারণে সেই বয়সেই ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করে। বাচ্চাদের হাতে এক একটা মোবাইল ফোন একেকটা আত্মঘাতী অস্ত্রতুল্য!

আর আমরা আদর করে বাচ্চাদের হাতে খেলনা তুলে না দিয়ে অতি আধুনিকতার ঠেলায় এখন তুলে দিচ্ছি স্মার্টফোন। তাই সেই অতি আদরে বাচ্চারা হয়ে যাচ্ছে বাঁদর। সেই সাথে হারাচ্ছে তাদের দুরন্ত শৈশব!

আন্তর্জাতিক একটি শিশুরোগ বিষয়ক গবেষণা সংস্থার দেয়া তথ্যমতে, বাচ্চারা যখন ফোনে কথা বলে তখন মোবাইলের রেডিয়েশনে তার মস্তিষ্কের কোষগুলো উত্তেজিত হতে থাকে যার স্থায়িত্ব হয় ২ ঘন্টারও বেশি! এই সময়ে তার কচি মস্তিষ্কের ক্ষতির পরিমাণ আপনি ধারণাও করতে পারবেন না!

Leave a Reply