মোটিভেশন

মোটিভেশনাল কথা শুনলে কিংবা পড়লেই কি আপনি মোটিভেটেড হয়ে যাবেন? মোটেই না! এটা শুধুমাত্র আপনার শোনার কিংবা পড়ার ইচ্ছেটিকে পূরণ করবে। আপনার অবচেতন মন জানে আপনি মোটিভেশনাল কথাবার্তা শুনতে পছন্দ করেন তাই এই জাতীয় জিনিস দেখামাত্র সে আপনাকে আগ্রহী করে তুলবে সেটি শুনতে বা পড়তে। এই শোনার কিংবা পড়ার পরে কিছু সময় ধরে মনের মধ্যে একটি রেশ রয়ে যাবে, একটি ভালো লাগার অনুভূতি রয়ে যাবে। তারপর যে কে সেই। এটা হচ্ছে এক্সটার্নাল মোটিভেশন, যেটা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর থাকেনা। মোটিভেশনাল কথাবার্তা শোনা আর নিজে পুরোপুরি মোটিভেটেড হয়ে কিছু করা দুটো দুই জিনিস। মোটিভেশনকে সত্যিকারে কাজে লাগাতে হলে দরকার ইন্টারনাল মোটিভেশন। মোটিভেটেড হবার জন্য প্রথমত আপনার একটি মোটিভ থাকতে হবে অর্থাৎ একটি কারণ থাকতে হবে। তারপর সেই কারণকে কার্যে পরিণত করার জন্য লাগাতার উদ্যম এবং শ্রম দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কি করতে চাই, কেন করতে চাই এই বোঝাপড়াটা নিজের সাথে পরিষ্কার হতে হবে। ইন্টারনাল মোটিভেশনের দরজা একবার খুলে গেলে তখন এক্সটার্নাল নেগেটিভ কোন শক্তি আপনাকে রুখতে পারবেনা। ‘ফুল কেন ফোটে?’ এর উত্তর হচ্ছে ফুলের ফোটা ছাড়া আর কোন অপশন নেই। ফোটার মধ্যদিয়েই তার পূর্ণতা। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদেরও (ইন্টার্নালি) মোটিভেটেড হওয়া ছাড়া আর কোন অপশন নেই। মোটিভেটেড হবার মধ্য দিয়েই আমরা জীবনকে বেগবান রাখতে পারব, কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো এবং দুনিয়ার বুকে যে অবদানটুকু রেখে যেতে চাই সেটি রেখে যেতে পারব। আর সেখানেই জীবনের পূর্ণতা। 

Leave a Reply