স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্কশপে এক গ্লাস পানি হাতে নিয়ে প্রশিক্ষক জানতে চাইলেন,
“এর ওজন কত?”
“দুশো পঞ্চাশ গ্রাম, “তিনশ গ্রাম”নানারকম উত্তর এলো প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে।
প্রশিক্ষক বললেন, “ধরা যাক এর ওজন তিনশ গ্রাম। আমি যদি গ্লাসটাকে তিন মিনিট
ধরে রাখি তো কি হবে?”
~কিছুই হবে না।
যদি তিরিশ মিনিট ধরে রাখি?
~ হাত ব্যথা করবে।
আর যদি তিনশ মিনিট ধরে রাখি তবে?
~ হাত অবশ হয়ে যাবে।
ঠিক বলেছেন। কি করতে হবে তখন?
~ গ্লাস নামিয়ে রাখতে হবে।
ঠিক তাই! আমরা আমাদের স্ট্রেস, টেনশান নিয়ে ঠিক এই কাজটিই করি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন বয়ে বেড়াই আর এটা আমাদের শারীরিক, মানসিকভাবে অবশ করে দেয়।
সুতরাং, গ্লাসটা নামিয়ে রাখা শিখতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে সেটা কিভাবে? আত্ম-উন্নয়ন নিয়ে পৃথিবীর সেরাদের সেরা একজন লেখক হচ্ছেন ডেল কার্নেগী। স্ট্রেস কিংবা দুশ্চিন্তাকে নাগালে আনার জন্য তিনি একটি কার্যকরী পদ্ধতির কথা বলেছেন। পদ্ধতিটিতে তিনটি ধাপ রয়েছে:
প্রথম ধাপ: যে জিনিসটা কিংবা যে বিষয়টা আপনাকে স্ট্রেসে ফেলছে সেটির মুখোমুখি হওয়া। সেটির বাস্তবতাকে মেনে নেয়া।
দ্বিতীয় ধাপ: যে বিষয়টি নিয়ে আপনি স্ট্রেসে আছেন, দুশ্চিন্তায় আছেন সেটা আপনাকে সবথেকে খারাপ কোন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। সেটি ভাবুন, কাগজে লিখে ফেলুন এবং মন থেকে মেনে নিন। নিজেকে নিজে বলুন, ‘সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি এটা হতে পারে। আমি সেটা জ্ঞাত এবং আমি সেটা মেনে নিচ্ছি।’ যখনই আপনি সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন তখন এই অনুভূতিটা আপনার মনের অস্থিরতাকে কমিয়ে দেবে। আপনি এবার স্থির হবেন।
তৃতীয় ধাপ: এবার এই স্থির মন নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে বসুন কিভাবে পরিস্থিতিকে ‘সবথেকে খারাপ অবস্থায়’ পৌঁছানোর আগেই সামাল দেয়া যায়। সেখানে আপনার কি কি করণীয় আছে। সমস্ত পয়েন্ট খাতায় টুকে নিন এবং সেই অনুযায়ী এবার পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজে লেগে যান। আপনার টুকু আপনি করুন আর আপনাকে যিনি তৈরি করেছেন সেই সৃষ্টিকর্তার উপর বাকিটুকু ছেড়ে দিন।
ভালো থাকুন! ভালো রাখুন সবাইকে!